Tuesday, January 23, 2018

আ:লীগের উপ-কমিটিতে সহ-সম্পাদক হতে এগিয়ে প্রশান্ত ভুষণ বড়ুয়া


বিশেষ প্রতিবেদকঃ
আগামীতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর হাতে পুর্নতা পাবে দলের পরিক্ষিত সাবেক ছাত্রনেতা ও ত্যাগী কর্মীরা।
সবার দৃষ্টি আর ভরসাস্থল দলের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্বাহী কমিটিতে যাদের জায়গা হয়নি তাদের দৌড় যেন সহ-সম্পাদক পদ।
উপকমিটির সহ-সম্পাদকের পদ পেতে অসংখ্য প্রত্যাশীদের মধ্যে পরিচ্ছন্ন ও সাবেক ছাত্রনেতাদের একজন কক্সবাজারের প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া।
যিনি পুর্বেও অত্যন্ত সুনামের সাথে উপকমিটির সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অতীতে যিনি দেশের বিভিন্ন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ও আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে জোরালো তথ্য উপস্থাপন করে এগিয়ে রাখেন।
৯৫ সংখ্যার উপকমিটিতে স্থান পেতে বর্তমান উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকসহ ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা লবিংয়ের জন্য সমান তালে দৌড়ে যাচ্ছেন।
অনেকে সময় দিচ্ছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে।
এদিকে অনেকটা প্রচার বিমূখ প্রতিভা প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া দীর্ঘদিন গ্রাম হতে গ্রাম,শহর হতে শহর ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মশাল উড়িয়ে চলেছেন।
আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক পদটি উদীয়মান নেতাদের জন্য কাঙ্খিত একটি পদ। পুর্বের মত এবারো প্রশান্ত দা পদটিতে বিদ্যমান থাকবে কিনা দলটিতে আলোচনা চলছে। কেননা বরাবরের মত তিনি যোগ্যতা রাখে উপকমিটিতে স্থান পেতে।
ছাত্র রাজনীতি হতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথ চলতে গিয়ে যাহার বর্ণাঢ্য রাজনীতির সুত্রে জানা যায়।
১৯৮৩ সাল হতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতৃত্বের পরিচিহ্ন স্বরুপ- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রামু খিজারী স্কুল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
তারপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে ধারাবাহিকভাবে সদস্য, আইন সম্পাদক ও সহ সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০১১ সালে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ শাখার নির্বাহী সদস্য ও ২০১২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৯৪-১৯৯৭ পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরের শুরুর দিকে গাইড এর দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৩ সালে প্রথম টুঙ্গিপাড়াতে ছাত্রলীগ এর প্রশিক্ষণ কর্মশালা, গঠনতন্ত্র ও ঘোষনাপত্র প্রণয়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেন এবং পরর্বতীতে বিভিন্ন জেলায় এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেন।
তিনিই হয়ত একক ব্যক্তি যার ব্যক্তিগত তহবিলে সর্বোচ্চ সংখ্যক বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী বিতরণ করেন প্রায় ৩ হাজারের অধিক।
১/১১ এ নেত্রীর গ্রেফতারের কয়েক ঘন্টার মধ্যে UK তে বাংলা TV তে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জ্ঞাপন এবং পরবর্তী এক বছরব্যাপী বিভিন্ন টকশো, বিতর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
রামুর বৌদ্ধমন্দির এর নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা তিনিই সর্বপ্রথম জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাত ২.১৫ ঘটিকায় অবহিত করেন এবং পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় বেসরকারিভাবে ব্যাপক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যক্তিগত ব্যয় করেন প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।
বহিঃ বিশ্বে দল ও সরকারের পক্ষে ব্যক্তিগত উদ্যোগ এ House of Lords, Policy Exchange, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট এ বিভিন্ন সেমিনারে সুকৌশলী বক্তব্যে আওয়ামীলীগের পক্ষে রাষ্ট্র পরিচালনায় উন্নয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন তিনি।
১৯৯৬ সালে লর্ড পিটার শোর ও রাসেদ সোহরাওয়ার্দীর গাইড হিসেবে দায়িত্ব পালন হতে শুরু করে পরবর্তী বিভিন্ন সময়ের নির্বাচনী প্রচারনায়, সভা, মিটিং ও মিছিলে প্রত্যক্ষ উপস্থিত হয়ে গঠনমূলক বক্তব্যে আওয়ামীলীগ এর উন্নয়নের কথা পৌছে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
পেশাগত অবস্থানে তিনি কখনো প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, অতিথি শিক্ষক, প্রাক্তন শিক্ষক পরিচালক এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ও মিডিয়া আইনের একাডেমিক প্রেক্টিশনার এর দায়িত্ব পালন করেছেন বহিঃবিশ্বের বিভিন্ন কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে।
Adjudication and Debating (বির্তক প্রতিযোগিতায়) এ বিভিন্ন দায়িত্ব ও দেশ-বিদেশে তিনি বহু পুরষ্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
Testimony- a Law journal ও Silk Route Socio- Political Journal (UK Based) এর Editor এর দায়িত্বরত আছেন।
দীর্ঘকালের এই রাজনৈতিক পথচলায় অবিরামভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচার ও সোনার বাংলা বিনির্মাণে তৃণমূল হতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনি করে যাচ্ছেন নিরন্তর পরিশ্রম।
তাই এখন সময়ের দাবি, এই নিঃস্বার্থ পরিশ্রমের মূল্যায়ন স্বরূপ তাঁকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় উপকমিটিতে উপযুক্ত পদে অভিষিক্ত করে কেন্দ্রীয় সভাসদে কক্সবাজারবাসীর শূণ্যকোটা পূরণ করার জোর আবেদন তুলেছে তৃণমূলে।
কক্সবাজার জেলার সাধারণ কর্মী হতে শত শত সাবেক ছাত্রনেতা,ছাত্রলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্চাসেবক লীগ সহ আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের হাজারো জনতা জোর দাবি তুলেছে উপ কমিটিতে যেন প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়াকে পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতা হিসেবে মুল্যায়ন করা হোক।
বার্তা প্রেরক
মিনহাজুল আনোয়ার সিকদার
কক্সবাজার সরকারি কলেজ।

No comments:

Post a Comment